মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০

আপনার ফোনের ক্যাশে ক্লিয়ার করবেন?

আপনার ফোনের ক্যাশে ক্লিয়ার করবেন?আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের স্টোরেজের জায়গা দখল করে রাখে ক্যাশে ফাইলস। আপনি যত বেশি অ্যাপ ব্যবহার করেন, তত বেশি স্টোর হতে থাকে তার তথ্য। টেমপোরারি ফাইলসের মাধ্যমে এই তথ্য স্টোর করে অ্যাপগুলো।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এই টেমপোরারি ফাইলসকে বলা হয় ক্যাশে। আপনি যখন কোন অ্যাপ দ্বিতীয়বার ব্যবহার করেন তখন আপনার আগের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ইউজার তথ্য সংগ্রহ করে অ্যাপটি। সেই তথ্য মেলে ক্যাশে ফাইলস থেকেই।
ক্যাশে ক্লিয়ার করবেন কেন?
ক্যাশে ফাইলসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই সব সময় ক্যাশে ক্লিয়ার করার প্রয়োজন নেই। তবে মাঝেমধ্যে তা করা উচিত।
- ক্যাশে ক্লিয়ার করলে ফোনের স্পেস সাময়িক সময়ের জন্য বাড়ে।
- পুরোনো ক্যাশে ফাইল খারাপ হয়ে থাকতে পারে। এর কারণে অ্যাপে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কোন অ্যাপ যদি আপডেটে সমস্যা দেখা দেয়। তবে ক্যাশে ক্লিয়ার করলে তা আপডেট নিতে বাধ্য।
নিয়মিত ক্যাশে ক্লিয়ার করা উচিত?
ক্যাশে ক্লিয়ারের নিয়ম জানা থাকলে নিয়ম করে তা পরিষ্কারের কথা মনে হতেই পারে। তবে নিয়মিত ক্যাশে ক্লিয়ার মোটেই উচিত নয়। জেনে নিন কখন ক্যাশে ক্লিয়ার করবেন-
- যখন অ্যাপের ক্যাশে ফাইল করাপ্ট হয়েছে, যার ফলে অ্যাপে অবাঞ্চিত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
- ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, এমন অ্যাপের ক্যাশে ডিলিট করা উচিত।
- স্টোরেজ সমস্যা থাকলে, অবশ্যই ডিলিট করুন।

আম আর সুজি দিয়ে তৈরি করুন মজাদার কেক

আম আর সুজি দিয়ে তৈরি করুন মজাদার কেকবাজারে পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম। আম দিয়েও তৈরি করা যায় মজাদার সব খাবার। আমের ক্ষীর, আমের পায়েস, আমের কেক আরও কত কী। আজ চলুন জেনে নেয়া যাক মজাদার আম ও সুজির কেক তৈরির রেসিপি-
উপকরণ :
সুজি ১ কাপ
আমের শাঁস (পাল্প) ১ কাপ
তেল অথবা বাটার আধা কাপ
চিনি আধা কাপ
বেকিং পাউডার ১/২ চা-চামচ
এলাচগুঁড়া আধা চা-চামচ
কিশমিশ ১/৪ কাপ(ইচ্ছা)
Cake-1প্রণালি :
ওভেন ১৬০/৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রি হিট হতে দিন। আমের শাঁস ছাড়া সুজির সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। তারপর আমের শাঁস (পাল্প) মিশিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে দিন। ওভেনে দেওয়ার আগে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট বেক করুন।
সময় শেষ হলে কেকের ভেতরে একটি কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নিন কাঁচা রয়েছে কিনা। কাঁচা থাকলে সময় আর একটু বাড়িয়ে দেবেন। আর হয়ে গেলে সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে নিন। পরিবেশন পাত্রে কেক উল্টিয়ে বের করে কেটে পরিবেশন করুন।

টিভিতে মাধ্যমিক-কারিগরির যেসব ক্লাস আজ

টিভিতে মাধ্যমিক-কারিগরির যেসব ক্লাস আজকরোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম সম্প্রচার করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিনে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে মাধ্যমিকের বিভিন্ন স্তরে পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে মাধ্যমিকের পাঁচটি ও কারিগরির তিনটিসহ মোট আটটি বিষয়ের ক্লাস প্রচার করা হবে।
গত শনিবার মাধ্যমিক ও কারিগরি স্তরের চলতি সপ্তাহের ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মাধ্যমিকে ১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত যেসব ক্লাস সম্প্রচার করা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। কারিগরিতে ১৪ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ক্লাস রুটিন দেয়া হয়েছে। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মাধ্যমিকের ক্লাস সম্প্রচারিত হবে। তবে এর আগে দুপুর ২০টা ৩০ মিনিট থেকে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়ে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
ক্লাস রুটিনে বলা হয়েছে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার আওতাধীন প্রতিষ্ঠান এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেণি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবহিত করবেন। বিশেষ প্রয়োজনে ক্লাস রুটিন পরিবর্তন হতে পারে। আগামী সপ্তাহে মাউশির ওয়েবসাইটে নতুন ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হবে।
প্রতিটি ক্লাস ২০ মিনিট করে প্রচার করা হচ্ছে, তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হোমওয়ার্ক (বাসারকাজ) দেয়া হয়। পরদিন তা টেলিভিশনের স্ক্রিনে সঠিক উত্তরগুলো দেখানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের এসব খাতা মূল্যায়ন করে নম্বর দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাউশি।
পাশাপাশি টেলিভিশনে প্রচার হওয়া সকল ক্লাস কিশোর বাতায়নে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময়ে তা দেখতে পারবে। সেখানে নানা ধরনের কুইজের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা খেলার ছলে শিখতে পারবে বলে জানা গেছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন রক!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন রক!বর্তমানে হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা রক খ্যাত ডোয়াইন জনসন। রেসলিংয়ের মাঠে দীর্ঘদিন দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। সেখান থেকে বিরতি নিয়ে সিনেমায় নাম লিখিয়ে পেয়েছেন আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা।
এবার শোনা যাচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে যাচ্ছেন তিনি। গুঞ্জন উস্কে দিচ্ছেন তার ভক্তরা। এক সপ্তাহ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রকের দেয়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিষয়টি নিয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে চিন্তা করছেন ভক্তরা।
ওই ভিডিও বার্তার ক্যাপশনে রক লিখেছেন, আপনারা কোথায়? আমাদের দেশ পঙ্গু হয়ে গেছে এবং হাঁটু গেড়ে বসে পরিবর্তনের আশায় প্রার্থনা করছে। আমাদের সহানুভূতিশীল নেতারা কোথায়?
রক আরও লেখেন, দেশের সবচেয়ে কঠিন সময়ে যেই নেতা দেশকে এক করতে পারেন, অনুপ্রেরণা দিতে পারেন, পদক্ষেপ গ্রহণ করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেন, সব রঙের মানুষকে আপন করে নিতে জানেন, যে নেতা বলতে পারেন যে আমরা পারি, একসঙ্গে হয়ে পরিবর্তন আনতে এমন নেতা কোথায়?
ওই পোস্টে রক আরো লেখেন, আপনারা যেহেতু আছেন, একদিন নিশ্চয়ই এমন শক্তিশালী নেতা আসবেন। পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
রকের এই বক্তব্যের পর থেকেই তার ভক্তরা চাইছেন তাদের প্রিয় তারকা যেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার দায়িত্ব নেন।

যে কারণে বিরতি ভেঙে টেস্টে ফিরলেন ওয়াহাব

যে কারণে বিরতি ভেঙে টেস্টে ফিরলেন ওয়াহাবপাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ২০২০-২১ মৌসুমে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা না পাওয়া অন্যতম বড় নাম বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। গত সেপ্টেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়ার কারণেই মূলত তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখেনি। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি ওয়াহাব।
যে কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়েই নিজের বিরতি ভাঙতে যাচ্ছেন তিনি। দলের প্রয়োজনে তাকে ডাকায় খুশি মনে বিরতি ভাঙতে রাজি হয়েছেন ওয়াহাব। জানিয়েছেন বিরতি নেয়া এবং বিরতি ভাঙার ব্যাপারে নিজের অবস্থানও।

গত শুক্রবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য ২৯ সদস্যের যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে অভিজ্ঞতম পেসার ওয়াহাবই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, হয়তো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য রাখা হয়েছে ওয়াহাবকে। তবে হেড কোচ মিসবাহ জানান, টেস্টের জন্যও বিবেচনায় রয়েছেন বাঁহাতি এ পেসার।
এবার একই কথা জানালেন ওয়াহাব নিজেও। এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘এবারের ইংল্যান্ড সফরের দলে থাকতে পেরে আমি উত্তেজিত। আপনারা জানেন, এবারের সফরটা পুরোপুরি ভিন্ন এক পরিস্থিতি। পিসিবির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছিল, টেস্ট ক্রিকেট খেলব কি না? আমি সরাসরি হ্যাঁ বলে দিয়েছি। কারণ পাকিস্তানের হয়ে খেলাই আমার কাছে সবচেয়ে বড়।’
এসময় টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়ার পেছনে তৎকালীন টিম ম্যানেজম্যান্টকেই দায়ী করেন ওয়াহাব। তবে বর্তমান টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে কথা বলেই অবসরের বদলে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। যাতে পরবর্তীতে ফিরতে পারেন টেস্ট দলে।
ওয়াহাব বলেন, ‘২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমি ভেঙে ভেঙে দলে সুযোগ পেয়েছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো পারফরম করেও পরের সফরের দলে জায়গা হয়নি। অস্ট্রেলিয়াতে সিরিজের মাঝপথে নেয়া হয়, আবার ফিরিয়েও দেয়া হয়। আমি তখন ভাবতাম, হয়তো টেস্ট খেলার মতো যথেষ্ঠ সামর্থ্য নেই আমার।’

ছায়াপথেই রয়েছে কয়েক ডজন উন্নত ও বুদ্ধিমান প্রাণীর বসবাস!

ছায়াপথেই রয়েছে কয়েক ডজন উন্নত ও বুদ্ধিমান প্রাণীর বসবাস!
এই মহাবিশ্বে একমাত্র পৃথিবী নামক গ্রহটিই বসবাসযোগ্য। এবং আমরা মানুষরাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, তথ্যপ্রযুক্তি-কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে মানুষ? আমাদের আছে উন্নত সব আবিষ্কার।
তবে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে নিজেকে গর্ব করার দিন মনে হয় শেষ হয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পৃথিবী থেকে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছায়াপথে মানুষের মতো বা তার থেকেও উন্নত ও বুদ্ধিমান প্রাণী বসবাস করার সম্ভাবনা রয়েছে
অনেক আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন পৃথিবীর বাইরে এলিয়েন নামের বুদ্ধিমত্ত্বাসম্পন্ন প্রাণীর উপস্থিতির কথা। তবে এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি তারা। ফলে এলিয়েনদের উপস্থিতি নিয়েও রয়েছে দ্বিমত।
তবে নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, পৃথিবী থেকে অন্তত ১৭ হাজার আলোকবর্ষের দূরত্বে ছায়াপথে অন্তত ৩৬ ধরনের সভ্যতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্ত্বাসম্পন্ন, যোগাযোগে সক্ষম ও সক্রিয়।
তাদের এ-সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি সোমবার দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এতদিন যে পদ্ধতিতে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধান করা হতো বিজ্ঞানীরা সেই পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছেন। তাদের প্রাথমিক অনুমান হলো, যেভাবে পৃথিবীতে উন্নত প্রাণীর বিকাশ ঘটেছে সেই একইভাবে ছায়াপথেও বুদ্ধিমান প্রাণের বিকাশ হবে, যদি সেখানকার এক্সোপ্ল্যানেটের (এক ধরনের গ্রহ যা তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়) পরিবেশ পরিস্থিতি পৃথিবীর মতো হয়। অর্থাৎ সেই এক্সোপ্ল্যানেট চরিত্রের দিক থেকে সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর মতো সমদূরত্বে আবর্তিত হতে হবে। ছায়াপথে এ রকম অন্তত ৩৬টি এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর মতোই এই এক্সোপ্ল্যানেটগুলোতে ৫০০ কোটি বছরই লেগেছে উন্নত জীবের বিকাশের জন্য।

দেশে ফিরলেন দুবাইয়ে আটকে পড়া আরও ১৫৮ বাংলাদেশি

দেশে ফিরলেন দুবাইয়ে আটকে পড়া আরও ১৫৮ বাংলাদেশি
কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে দুবাইয়ে আটকে পড়া আরও ১৫৮ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট।
সোমবার রাতে দুবাই থেকে উড্ডয়ন করে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৭টা ১৩ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।
এর আগে সোমবার দুবাইয়ে আটকে পড়া ১৬০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনে ইউএস-বাংলার একটি বিশেষ ফ্লাইট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, দুবাইয়ে আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার সুবিধার্থে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। দুবাই-ঢাকা রুটে ইউএস-বাংলার বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালনা করা হয়।
দুবাই থেকে প্রত্যেক যাত্রী করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রীর সঙ্গে দুই জোড়া ডিসপোসিবল গ্লাভস এবং মাস্ক রাখার বাধ্যবাধকতাও ছিল বলে জানায় তারা।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে গত তিন মাসের অধিক সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন শহরে আটকে ছিলেন বহু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি। আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে পারছিলেন না তারা।

চির বিদায় নিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। Bnews24




চির বিদায় নিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তার বষয় হয়েছিল ৭২ বছর। আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র বর্ষিয়ান জননেতা মোহাম্মদ নাসিম গত ৫ জুন ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। ওইদিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পযবেক্ষণে রেখেছিলেন। পরে গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বিকেলে মেডিক্যাল রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পযালোচনা করেন। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। ওইসময়ের মধ্যে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ডিপ কমাতে রাখা হয় ৷ গত ১ জুন সকালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। তবে পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় ৷ কিন্তু গত ৫ জুন সকালে মোহাম্মদ নাসিম ব্রেন স্ট্রোক করেন। এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার ছিল তার দ্বিতীয় দফায় স্ট্রোক। এ অবস্থায় গত ৯ জুন তার পুনরায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয় ৷ ওই দিন করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ৷ পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয় ৷ কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় বিদেশ নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। ফলে চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি ৷

সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

বাঁচার শিক্ষা দিয়ে নিজেই হেরে গেলেন সুশান্ত

বাঁচার শিক্ষা দিয়ে নিজেই হেরে গেলেন সুশান্তসুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুতে থমকে গেছে বলিউড। শোকের চাদরে ঢাকা পড়েছে হিন্দি সিনেমার আঙিনা। প্রিয় নায়কের বিদায়ে কাঁদছেন ভক্তরা।
এমনকি সুশান্তের মৃত্যুর খবরে হতবাক নেট নাগরিকরাও। সকলেরই প্রশ্ন, 'ছিছোড়ে' মতো ছবিতে অভিনয় করার সুশান্ত কীভাবে এমন ভয়ংকর পদক্ষেপ নিতে পারেন? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
সুশান্ত শেষ ছবিটি করেছিলেন, সেটি হল 'ছিছোড়ে'। যেখানে মানসিক অবসাদে ভেঙে না পড়ার বার্তাই দেওয়া হয়েছিল। পুরো ছবিটি তৈরি হয়েছিল মানসিক অবসাদ, জীবনের সাফল্য নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল গোটা ছবিতে। সেই তিনিই পরাজিত সৈনিকের মতো হেরে গেলেন জীবনের কাছে।
সুশান্তের মৃত্যুর পর বারবারই উঠে আসছে এ ছবির সেই ডায়ালগগুলো। 'ছিছোড়ে' ছবিতে সুশান্তের ছেলে যখন আত্মহত্যার চেষ্টার পর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তখন সুশান্তকে বলতে শোনা যায়, 'পরীক্ষার ফলাফল কখনও ঠিক করে দেয় না তুমি সফল নাকি বিফল, তুমি কতটা চেষ্টা করেছো সেটা ঠিক করে দেয় তোমার সাফল্য।'
ছবিতে এভাবেই আরও অনেক ডায়ালগ রয়েছে, যেগুলি জীবনেক শিক্ষা দেয়, মনোবল বাড়ায়।

মাস্ক ব্যবহারে ৪০ শতাংশ কমতে পারে করোনা সংক্রমণ: গবেষণা

মাস্ক ব্যবহারে ৪০ শতাংশ কমতে পারে করোনা সংক্রমণ: গবেষণাশুধু মাস্ক ব্যবহারেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব। সম্প্রতি জার্মানির এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটিতে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়া বেশ কিছু শহরের মানুষদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল জার্মানির জেনা শহরে ঘরের বাইরে সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। এর কিছুদিন পরেই দেখা যায়, সেখঅনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে।
গত শুক্রবার এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে আইজেডএ ইনস্টিটিউট অব লেবার ইন বন। তারা জানিয়েছে, অঞ্চলভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ১০ দিনের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এভাবে বেশ কিছু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে, শুধু মাস্ক ব্যবহারেই দৈনিক সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব।
করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও)। তারা বলছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জনসম্মুখে অবশ্যই সবার মাস্ক পরা উচিত।
maskসংস্থাটি জানিয়েছে, ফেস মাস্ক ‘সম্ভাব্য সংক্রামক ড্রপলেটের’ জন্য বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে। একারণে গণপরিবহন, বিপণিবিতান ও শরণার্থী শিবিরের মতো জায়গাগুলোতে অবশ্যই সবার মাস্ক পরা উচিত।
ডব্লিউএইচও বলছে, জনসম্মুখে অবশ্যই কাপড়ের মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে, যাতে সংক্রমণের বিস্তার না ঘটে। বিশেষ করে যাদের বয়স ষাটের বেশি কিংবা যাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে, তাদের সুরক্ষার জন্য মেডিকেল গ্রেড মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

সিসিকের সাবেক মেয়র কামরান আর নেই

সিসিকের সাবেক মেয়র কামরান আর নেইআওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ জুন) ভোর ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
ঢাকায় কামরানের সঙ্গে থাকা তার বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে রাতেই তার মৃত্যুর খবর সিলেটে পৌঁছালে নগরবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত ৫ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন কামরান। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে গত শনিবার (৬ জুন) তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যায় তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়।
এরপর দিন ৮ জুন তাকে সিএমএইচে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। প্লাজমা থেরাপির পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। তবে তাকে সিএমএইচের আইসিইউতে রেখে অক্সিজেন সাপোর্টে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। রোববার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং সোমবার ভোর রাত ৩টায় তিনি মারা যান।
কামরানের আগে গত ২৭ মে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরানও করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে আছেন। বাসায় থেকেই আসমা কামরান সুস্থ হওয়ার পথে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০

যুক্তরাজ্যকে টপকে আক্রান্তে শীর্ষ চারে ভারত

যুক্তরাজ্যকে টপকে আক্রান্তে শীর্ষ চারে ভারত
ভারতে মহামারি করোনার সংক্রমণ হু হু করে যে বাড়ছেই তার প্রমাণ মিলছে প্রতিনিয়ত। ভাইরাসটিতে শীর্ষ আক্রান্ত দেশগুলোকে প্রায় প্রতিদিনই ছাড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী এই দেশটি। সবশেষ খবর হলো, যুক্তরাজ্যকে টপকে শীর্ষ আক্রান্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান এখন চতুর্থ।
ভারতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫৪ জন। অপরদিকে গতদিন পর্যন্ত তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এই সংখ্যাটা এখন ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৮। শীর্ষ আক্রান্ত তিন দেশ যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও রাশিয়ার পরপরই এখন ভারতের অবস্থান।
করোনা সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌনে আট লাখেরও বেশি। আর রাশিয়ায় আক্রান্ত ইতোমধ্যে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতে গত ২৪ মে থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অর্থাৎ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করে। ওইদিন শীর্ষ আক্রান্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান ছিল দশম স্থানে। এরপর ১৮ দিনের মাথায় সেই অবস্থান এখন চতুর্থ।
দ্রুত সংক্রমণ শুরুর পথে দেশটি টপকে যায় চীনকে; গত ডিসেম্বরের শেষদিকে এই চীনের উহান থেকেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল। এছাড়া চীনের পর ভাইরাসটি সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল ইতালি ও স্পেনকেও ছাড়িয়ে যায় ভারত। পেছনে পড়ে যায় জার্মানি, ফ্রান্স, তুরস্ক ও ইরানও।
প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে মোদি সরকার; তখন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এরপর লকডাউন জারি ছিল যেকোনো দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে। তবুও ভাইরাসটির সংক্রমণ রুখতে পারেনি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল এই দেশটি।

ফটিকছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত

ফটিকছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কামাল (৩৬)। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নানুপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাশেদ কামাল নানুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোবারক আলী সওদাগর বাড়ির আব্দুর রব্বানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিস্তারিত আসছে

পেঁয়াজ আমদানিতে বাড়ছে খরচ

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে। দেশের পেঁয়াজ চাষীদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি এবং বিদেশ থেকে পণ্যটির আমদানির নির্ভরতা কমাতে এ প্রস্তাব করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের সময় পেঁয়াজের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমা্নে দেশে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ চাষ করা হচ্ছে। কিন্তু বিদেশ থেকে বিনাশুল্কে পণ্যটি আমদানি করায় দেশের চাষীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এতে চাষীরা ভবিষ্যতে এর উৎপাদন থেকে বিরত থাকতে পারেন। তাই দেশের চাষীদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত এবং বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির নির্ভরতা কমতে পণ্যটির আমদানিতে শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

মারা গেলেন বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট

মারা গেলেন বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন পূর্ব আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫৫ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন বলে মঙ্গলবার দেশটির সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অসুস্থতা বোধ করায় শনিবার প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন এই প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও সোমবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তার। তাকে বাঁচানোর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
টুইটারে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বুরুন্ডিয়ান এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজার মৃত্যুর ঘোষণা দিচ্ছে সরকার।
২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসা পিয়েরে কুরুনজিজার মেয়াদ আগামী আগস্টে শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত মাসে দেশটির নির্বাচনে জয়ী দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র এভারিস্তে এদায়িশিয়ামিয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ছিল তার।

কল ফর নেশনে বিজয়ী মনের বন্ধু

কল ফর নেশনে বিজয়ী মনের বন্ধুকোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘অ্যাক্ট কোভিড-১৯’ অনলাইন হ্যাকাথন। ‘কল ফর নেশন’ নামে একটি প্লাটফর্মের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে এই হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মেন্টাল হেলথ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে ‘মনের বন্ধু’। যা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রথম মেন্টাল হেলথ বা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করবে মনের বন্ধু। যা মনের বন্ধু অ্যাপ নামে পরিচিত হবে।
মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তৌহিদা শিরোপা জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই আমরা সারা দেশের মানুষকে ইউএনডিপির সহায়তায় বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। দিনরাত ২৪ ঘন্টা আমাদের টিম কাজ করছে। মনের বন্ধুর টিম স্পিরিট কাজ করছে এর পেছনে। এ পুরষ্কার আমাদের কাজকে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই পরিস্থিতিতে আরও সহজে ও বেশিসংখ্যক মানুষের কাজে পৌঁছাতে এই অ্যাপ কাজ করবে।
তিনি জানান, মনের বন্ধু দেশের প্রথম মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অ্যাপস তৈরি করবে। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে মানুষের হতাশা, আতঙ্ক, ভয় কাটিয়ে উঠতে পারে। এটি মেডিটেশনভিত্তিক হবে। মাইন্ডফুলনেসসহ বাংলায় বিভিন্ন ধরনের গাইডেড মেডিটেশন থাকবে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য।
এই অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের টিপস ও লেখাও থাকবে সচেতনতার জন্য। চ্যাটবটও থাকবে এখানে। এ ছাড়া সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলরদের সাথে সরাসরি সেবাও নিতে পারবেন।
খুব শিগগিরই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে।

১১০ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ১৭৯৪তম ঢাবি

১১০ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ১৭৯৪তম ঢাবিএ বছর বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবস্থান ১ হাজার ৭৯৪তম। দুই হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তালিকায় জায়গা হয়নি বাংলাদেশের আর কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। র‌্যাংকিংয়ে গত বছর ঢাবির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৬৮৪তম স্থানে। অর্থাৎ এক বছরে তারা পিছিয়েছে ১১০ ধাপ।
সোমবার ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংস ২০২০-২১’ নামের এই তালিকা প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং (সিডব্লিউইউআর)। ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরই বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই র‌্যাংকিং প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংস্থাটি৷
সিডব্লিউইউআরের তালিকায় শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটিই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের৷ পুরো তালিকায় ৩৫৭টি (পুয়ের্তো রিকোসহ) জায়গা নিয়ে এদিক থেকেও শীর্ষে তারা৷ তালিকায় চীনের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২৬৭টি (হংকং ও ম্যাকাওসহ), জাপানের ১২৬টি, যুক্তরাজ্যের ৯৫টি, ফ্রান্সের ৮২টি ও রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৪৬টি।
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভারতের ১৬টি ও পাকিস্তানের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় সেরাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
মোট সাতটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক মান যাচাই করে এ র‌্যাংকিং নির্ধারণ করে সিডব্লিউইউআর৷ সেগুলো হলো শিক্ষার মান, সাবেক শিক্ষার্থীদের পেশাগত অবস্থান, অনুষদের মান, গবেষণার সংখ্যা, উচ্চমানসম্পন্ন প্রকাশনা, গবেষণার প্রভাব ও উদ্ধৃতি৷ এই সাতটি সূচকে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ৬৬ দশমিক ৬৷
১০০-তে ১০০ স্কোর করে এই র‌্যাংঙ্কিংয়ে টানা নবমবারের মতো বিশ্বসেরা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।
সম্প্রতি টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রকাশিত 'এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২০'-এ সেরা চারশ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিতে পারেনি।
ওই তালিকায় সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩টি ছিল চীনের। আর ভারতের ছিল আটটি।

জমিয়ে কাজের মেয়ের জন্মদিন পালন করলেন আলিয়া

1
দীর্ঘ দিন ধরেই আলিয়ার পরিবারে কাজ করছেন পরিচারিকা রশিদা শেখ। তবে আলিয়াদের পরিবারের নিছক একজন কাজের মানুষই নন তিনি, এই পরিবারের একজন হয়ে উঠেছেন। আর কোন রকম আয়োজন ছাড়ার পরিবারের একজনের জন্মদিন পার হয়ে যাবে তাই হয় নাকি!
তাই বেশ জমিয়ে রশিদার জন্মদিন পালন করেছে আলিয়ার পরিবার। তার জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন আলিয়ার দিদি শাহিন ভাট, বাবা মহেশ ভাট ও মা সোনি রাজদান। ভাট পরিবারের পরিবারের প্রত্যেকে গান গেয়ে, কেক কেটে, নেচে তা সেলিব্রেট করেন রশিদার জন্মদিন।
এর আগেও রশিদার ছবি পোস্ট করেছিলেন আলিয়ার প্রেমিক রণবীর কাপুর। তাই এই পরিবারের সদস্য হিসেবে রশিদাও এখন সবার কাছে পরিচিত মুখ। বেশ হাসি-খুশি পরিবেশে আজ পার হচ্ছে তার জন্মদিন।
বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় আছে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের সিনেমা ব্রক্ষ্মাস্ত্র। এখানে অভিনয় করেছেন রণবীর-আলিয়া।
অন্যদিকে লকডাউনের কারণে করণ জোহরের ‘তখত’ সিনেমার শুটিংও পিছিয়ে যায়। ওই সিনেমায় কারিনা কাপুর, রণবীর সিং ও বিকি কৌশলের সঙ্গে রয়েছেন আলিয়া ভাট। পিছিয়েছেন আলিয়া অভিনীত সঞ্জয় লীলা বানশালির পরবর্তী সিনেমা ‌‌‘গাঙ্গুবাই কাঠিওয়াড়ির’ শুটিং। কবে থেকে আলিয়াকে আবারও ‘গাঙ্গুবাই কাঠিওয়াড়ির’ সেটে দেখা যাবে সেটাও  অনিশ্চিত।

কনকাশন সাবের পর এবার এলো ‘করোনা সাব’

কনকাশন সাবের পর এবার এলো ‘করোনা সাব’বর্তমানে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যান র‍্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেন। ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হলেও লাবুশেনের নতুন রূপ দেখা গেছে গতবছরের অ্যাশেজ সিরিজে। যেখানে স্টিভ স্মিথের জায়গায় খেলতে বাজিমাত করেন ২৫ বছর বয়সী এ তারকা ব্যাটসম্যান।
অথচ সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে সেই সিরিজে হয়তো তেমন একটা সুযোগই পেতেন না লাবুশেন। কেননা তিনি যে নেমেছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ‘কনকাশন সাবস্টিটিউট প্লেয়ার’ হিসেবে। স্টিভেন স্মিথ মাথায় আঘাত পেলে তার বদলে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন লাবুশেন।
এবার কনকাশন সাবের নতুন আরেক রূপ ‘করোনা সাবস্টিটিউট’ নিয়ম প্রকাশ করল আইসিসি। আগামী ৮ জুলাই থেকে মাঠে ফিরবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তখন থেকে যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ক্রিকেটের পাঁচটি নিয়মে বদল এনেছে আইসিসি।
কনকাশন সাবের নিয়মটিই খানিক বাড়িয়ে করা হয়েছে করোনা সাব। আগে যেমন শুধু খেলোয়াড়রা মাথায় আঘাত পেলে তাদের বদলে নতুন আরেকজন নামান যেত, তেমনই হবে করোনাকালীন সময়ের ক্রিকেটেও।
নতুন এ নিয়মের আওতায় টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোন খেলোয়াড়ের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে ম্যাচ রেফারির অনুমতি সাপেক্ষে অন্য একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো যাবে। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
এছাড়া আরও যে চারটি নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলো হলো বলে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা, অতিরিক্ত রিভিউ সিস্টেমের অনুমতি এবং জার্সিতে বাড়তি লোগোর ব্যবহার।

সরকার ও চিকিৎসকের নির্দেশনা মানলে এত সংক্রমণ হতো না



সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশনা মানলে করোনার এত সংক্রমণ হতো না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, বিশ্বের মানুষের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই ভাইরাস থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে। উন্নত বিশ্বের মতো আমরাও বড় একটি দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ শুরু থেকে নিয়েছেন। দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে, তবে সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চললে এত সংক্রমণ হতো না।
তিনি বলেন, এই দুর্যোগ মেকাবিলা করতে শুরু থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মুহূর্ত মনিটরিং করছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যাতে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি। মানুষ যাতে খাদ্য ও চিকিৎসায় কষ্ট না পায় সেজন্য সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জীবন ও জীবিকার কথা মাথায় রেখে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ গার্মেন্টগুলো চালু হওয়ার পর অনেকেই চিন্তা করেছেন এতে হয়তো সংক্রমণ আরও বাড়বে। কিন্তু আমরা মনে করি, অনেক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল একটি স্তম্ভ হচ্ছে এই পোশাক শিল্প। খাতটি বিশেষ করে আমাদের যারা প্রতিযোগী ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা- এসব দেশ যখন তারা তাদের প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে তখন আমরা যদি আমাদের কারখানা বন্ধ রাখি তাহলে আমাদের বাজারটা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলব। এখনই যদি আমরা কাজ শুরু না করি তাহলে ক্ষতি হয়ে যাবে। এই কথা চিন্তা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হানিফ বলেন, আমরা যদি সেইফটিকে অগ্রাধিকার দেই তাহলে সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ নেই। এটি কঠিন কাজ নয়। মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা এবং নাক-মুখে যতটা সম্ভব হাত না দেয়া, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব যদি বজায় রাখতে পারি তাহলে আমরা করোনার এই ট্রান্সমিশন রোধ করতে পারি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস যেটি মহামারি আকারে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে সেজন্য আমরা সচেতন হই। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। উনি দায়িত্ব নেয়ার পর সব সেক্টর এগিয়ে গেছে। তিনি এই দুর্যোগ মোকাবিলা করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সফল হবেন।

নতুন রেকর্ড : করোনায় মোট মৃত্যুর ৩৯ শতাংশ গত ৯ দিনে

নতুন রেকর্ড : করোনায় মোট মৃত্যুর ৩৯ শতাংশ গত ৯ দিনে
মঙ্গলবার (৯ জুন পর্যন্ত সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৭৫ এবং  মারা গেছেন ৯৭৫ জন। প্রতিদিনই পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।
হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত এবং ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পর্যায়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ কাজে আসছে না! সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কবে বন্ধ হবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর এই মিছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট ৯৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চলতি জুনের গত ৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩২৫ জনের অর্থাৎ মৃত্যুর ৩৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ৯ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশের বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছর। গত ৯ দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ১৭৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৭০ বছর। এর মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৩ জন এবং ৬১-৭০ বছর বয়সে ৮৬ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না করোনা সংক্রমণ কবে শেষ হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার (প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, বাইরে গেলে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস এবং কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা) পরামর্শ দিচ্ছেন।
প্রায় দুই মাস সাধারণ ছুটি শেষে জীবন ও জীবিকার তাগিদে সরকার অফিস-আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন এ তিন ভাগে ভাগ করে লকডাউন শুরু করছে । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছে সম্ভব হবে।

বিশ্বকাপ না হলে তো আইপিএল হতেই পারে’

‘বিশ্বকাপ না হলে তো আইপিএল হতেই পারে’টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নাকি আইপিএল- এ নিয়েই যেন এখন দু’ভাগ হয়ে গেছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। কেউ চান বিশ্বকাপ নয়, আইপিএলই হোক। আবার কেউ বলছেন, আইপিএল একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। এর জন্য কোনোভাবেই বিশ্বকাপকে বিসর্জন দেয়া যায় না।
তবে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি এবং বর্তমানে ধারাভাষ্যকার মাইকেল হোল্ডিং বলছেন, বিশ্বকাপ যদি মাঠেই না গড়ায়, তাহলে তো ওই সময়টায় আইপিএল আয়োজন করাই যায়। শুধু তাই নয়, ওই সময়টায় আইপিএল আয়োজন করার পূর্ণ অধিকার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রাখে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের; কিন্তু, করোনাভাইরাসের কারণে এই বিশ্বকাপ আয়োজনই এখন পড়ে গেছে চরম অনিশ্চয়তায়। যদিও এখনও পর্যন্ত আইসিসি এ ব্যপারে কিছুই বলেনি।
তবে সাবেক অসি অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারসহ অনেকেই বলছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপের কাছে নতি স্বীকার করছে আইসিসি। যে কারণে, তারা বিশ্বকাপ পিছিয়ে দিয়ে ওই সময়টাতে আইপিএল আয়োজনের সুযোগ করে দিতে চাইছে।
তবে মাইকেল হোল্ডিং বলেছেন, ‘মনে হয় না যে, আইসিসি ইচ্ছাকৃতভাবে আইপিএল আয়োজনের কথা ভেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের আইনেই তো রয়েছে, একটা নির্দিষ্ট তারিখের আগে সে দেশে বিদেশিদের প্রবেশের ব্যাপারে। যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত না হয়, তবে আইপিএল আয়োজনের পূর্ণ অধিকার রয়েছে বিসিসিআইয়ের। অন্যের প্রতিযোগিতায় অনধিকার প্রবেশ করলে না হয় সেটা নিয়ে কিছু বলা যেতো!’
প্রসঙ্গতঃ করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর যথাসময়ে (২৯ মার্চ) শুরু করা যায়নি আইপিএল। এখন পরিকল্পনা হচ্ছে, যদি আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত না হয়, তাহলে ওই সময়ের মধ্যে আইপিএল আয়োজন করা যায় কি না।একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি হোল্ডিং বিসিসিআইয়ের পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে বিসিসিআইর ওই ফাঁকা সময়ে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সমস্ত অধিকার রয়েছে। কারণ তারা অন্য কোনো টুর্নামেন্টের মধ্যে অনধিকারপ্রবেশ করছে না।’

সোমবার, ৮ জুন, ২০২০

কোটি কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের উৎপাদন ব্যয় দিতে চান বিল গেটস

কোটি কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের উৎপাদন ব্যয় দিতে চান বিল গেটসকরোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সেটি বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো কবে নাগাদ পাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু এই সংশয় দূর করতে করোনার সম্ভাব্য কার্যকর ভ্যাকসিনের কোটি কোটি ডোজ উৎপাদনের ব্যয় বহন করতে চান বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটস।
সবচেয়ে আশাব্যাঞ্জক ভ্যাকসিনগুলোর দিকে গভীর নজর রাখছেন মার্কিন এই ধনকুবের। কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার আগেই উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
\এছাড়া যেসব নিম্ন-আয়ের দেশের সামর্থ্য নেই সেসব দেশকে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তাও করতে চান তিনি। ভ্যাকসিন কেনার এই কাজে অলাভজনক সংস্থা গাভি দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফট করপোরেশনের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তহবিল গঠনে আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে অংশ নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। পরে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কোটি কোটি ডোজ উৎপাদন এবং সবার জন্য তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বিল গেটস।
তিনি বলেন, এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকায় একাধিক ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি আমরা বছরে ১০০ অথবা ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে পারি তাহলে এর বরাদ্দে জটিল কোনও সমস্যা হবে না।
এই ধনকুবের বলেন, যদি বছরে মাত্র ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা যায়; তাহলে সেখানে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেবে।করোনার কারণে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে জীবনরক্ষাকারী সব ধরনের ভ্যাকসিনের প্রাপ্তিতে বিঘ্ন ঘটেছে এবং এই মহামারি বৈশ্বিক নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত করেছে। এর ফলে লাখ লাখ শিশু ডিপথেরিয়া, হাম এবং পোলিওর মতো রোগের ঝুঁকিতে পড়েছেন। তবে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে এলে তা গাভি দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের বৃহৎ পরিসরের সরবরাহ কাজে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করবে সিয়াটলভিত্তিক বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
গেটস বলেছেন, এমনকি এই কাজে ব্যয়ের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে গাভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেঠ বার্কলি বলেন, বিশ্বে এই টিকাদান হাজার হাজার বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স বলেছে, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গাভি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার তহবিলের জোগান দেয়ার প্রস্তাব করলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো এই ভ্যাকসিনের দাম মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বিল গেটস বলেছেন, করোনার কিছু ভ্যাকসিনের একটি ডোজের দাম ৪ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। মার্কিন এই ধনকুবের বলেন, তিনি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে এমন আটটি ভ্যাকসিনকে আশাব্যাঞ্জক হিসেবে দেখছেন। আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি যদি কাজ করে তাহলে আমরা এগুলোতে নজর দেবো।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।

সংসদের ৪৩ কর্মকর্তা, ৮২ আনসার করোনায় আক্রান্ত

আসন্ন বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে সংসদের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় ৪৩ জনের রেজাল্ট ‘পজিটিভ’ এসেছে। অথচ তাদের অধিকাংশের শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ ছিল না।
করোনা পজিটিভ হওয়াদের অনেকেই স্পিকারের দফতরে অবাধে যাতায়াত করতেন। অধিবেশন চলাকালীন অনেকেরই সংসদ কক্ষে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল।
আজ সোমবার (৮ জুন) সংসদ ভবনের সংসদ সচিবালয় কমিশনের ৩১তম সভা এবং পরে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত ৮২ জন আনসার সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সংসদে কর্মরত তিনজন পুলিশ সদস্যেরও করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে।
সংসদের ৪৩ কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক আনসার ও পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে সংসদে কর্মরত বাকিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অধিবেশন চলাকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
এরই অংশ হিসেবে সংসদে দায়িত্বরত প্রায় সাড়ে ৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়। সোমবার তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা শেষ হয়। কিন্তু ওই অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন এমন সংসদ সদস্যদের (এমপি) করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি
সংসদ মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার আরিফুল হক সোমবার জাগো নিউজকে বলেন, সংসদের ৪৩ কর্মকর্তার শরীরে আমরা করোনা পজিভিট পেয়েছি। এর মধ্যে আজ সোমবার ১১ জনের শরীরে, গতকাল রোববার ১৬ জনের শরীরে এবং শনিবার চারজনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে, গতকাল রোববার (৭ জুন) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন জানান, আনসার বাহিনীর করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ জন ব্যাটালিয়ন আনসার সংসদ সচিবালয়ে কর্মরত।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান জাগো নিউজকে বলেন, সংসদে আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আক্রান্তদের মোবাইলে ‘করোনা পজিটিভ’ জানিয়ে মেসেজ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আমর্স তাদের তালিকা ধরে ফোন দিচ্ছেন। তাদের সংসদে না আসার জন্য বলা হচ্ছে। আজও সংসদ সচিবালয়ের ৩১তম কমিশন বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল এমন কয়েকজন কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়। পরে তারা বৈঠকে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষার জন্য সংসদ সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট মেম্বারস ক্লাবে একটি বুথ তৈরি করা হয়। সেখানে নমুনা নিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে অধিবেশনে অংশ নেয়া এমপিদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে না বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘সংসদে যাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার দরকার ছিল তাদের করাচ্ছি। এছাড়া অনেকে নিজ নিজ উদ্যোগে পরীক্ষা করাচ্ছেন।’
এমপিদের পরীক্ষার ব্যাপারে চিফ হুইপ বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। কারণ আজ টেস্ট করলাম কাল যে পজেটিভ হবে না তার কোনো গ্যারান্টি আছে? তবে নিজেদের সেভ করার জন্য টেস্ট করলে ভালো। আমরা কীভাবে বলি?’
এদিকে এমপিদের করোনা পরীক্ষা না করায় সংসদে কর্মরতদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত সাতজন এমপি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একজন প্রতিমন্ত্রীর বাসায় কর্মরত চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এজন্য সংসদ যোগ দেবেন এমন এমপিদেরও করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে।
সংসদ সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জামালপুর-২ আসনের এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান (সপরিবার), চট্টগ্রাম-৬ আসনের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শহীদুজ্জামান সরকার ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী করোনাকে জয় করেছেন।
এ বিষয়ে সংসদের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ‘শুধু শুধু আমাদের করোনা নেগেটিভ হলে কী হবে? সংসদ সদস্যদেরও করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ তারা জনসাধারণের সঙ্গে বেশি মেশেন। তাই আমাদের করোনা নেগেটিভ হলেও আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।’
আগামী ১০ জুন শুরু হচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর পরের দিন অর্থাৎ ১১ জুন বাজেট উত্থাপন হবে। এটি পাস হবে ৩০ জুন। বাজেট অধিবেশন ঘিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনেকগুলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

আজ থেকে চলবে আরও ৯ জোড়া ট্রেন

আজ থেকে চলবে আরও ৯ জোড়া ট্রেন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ট্রেন চালুর চতুর্থ দিনের মাথায় আজ বুধবার থেকে নামানো হচ্ছে আরও ৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন। আর বৃহস্পতিবার (৪ জুন) থেকে চলবে আরও দুই জোড়া ট্রেন।
গত ২৫ মে থেকে বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে ৮ জোড়া ট্রেন।
বুধবার (৩ জুন) কমলাপুর রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন যুক্ত হওয়া ১১ জোড়া ট্রেনের মধ্যে ৭ জোড়া ট্রেন ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাত্রী পরিবহন করবে। বাকি ৪ জোড়া ট্রেন ঢাকার বাইরে চলাচল করবে।
এদিকে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়েছে তিস্তা এক্সপ্রেস এবং সকাল পৌণে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ছেড়েছে বলে জানা যায়।
নতুন যে ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে সেগুলো হলো- ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলহাটি রুটের নীলসাগর এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলহাটি রুটের রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটের কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট রুটের মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের মেঘনা এক্সপ্রেস।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত রোববার (৩১ মে) থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন (বাস, ট্রেন, নৌযান) চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ মে থেকে প্রাথমিকভাবে ৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করেছে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে কালনী, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পাহাড়িকা বা উদয়ন এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন।
রেলমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পুরো টিকেট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে । যাত্রা শুরুর পাঁচদিন পূর্বে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন না। স্বল্প দূরত্বের ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে কোনো ট্রেন থামবে না। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে পৌঁছাসহ যাত্রী সাধারণকে বেশকিছু বিধি মেনে ট্রেনে চলাচল করতে হবে।
ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। সকল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করতে হবে, কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না।
এদিকে শনিবার (৩০ মে) রেলভব‌নে ক‌রোনা পরবর্তী ট্রেন চলাচলের বিষ‌য়ে সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে যাত্রীকে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। যাত্রী সাধারণকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্টেশন এলাকায় বা ট্রেনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে অবস্থান করতে হবে। ট্রেনে আরোহণ এবং অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে। যাত্রার তারিখসহ পাঁচদিন আগে থেকে টিকেট ক্রয় করা যাবে। রেলের কোনো ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পরে সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে ৮টি ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে শুরু হয় আরও ৯টি ট্রেন চলাচল এবং বৃহস্পতিবার থেকে এই বহরে যুক্ত হবে আরও দুইটি ট্রেন।

আজ টিভিতে মাধ্যমিক-কারিগরির ১৩ ক্লাস

আজ টিভিতে মাধ্যমিক-কারিগরির ১৩ ক্লাস
সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে আজ (বুধবার) মাধ্যমিকের ১০টি ও কারিগরির তিনটিসহ মোট ১৩টি বিষয়ের ক্লাস প্রচার করা হবে।
আজ মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস বেলা ১১টা ৫ মিনিট থেকে ১১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত, সপ্তম শ্রেণির বাংলা বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট, অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি ও বাংলা ক্লাস ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত, নবম শ্রেণির গণিত, ইংরেজি ও অর্থনীতি ক্লাস ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত, দশম শ্রেণির বাংলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস ১টা ২৫ মিনিট থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রচার করা হবে।
অন্যদিকে এদিন কারিগরি স্তরে নবম শ্রেণির অটোমেটিভ ক্লাস দুপুর ২টা ১০ মিনিট থেকে ২টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত, দুপুর ২টা ২৭ মিনিট থেকে ২টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত দশম শ্রেণির বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স এবং দশম শ্রেণির ফার্ম মেশিনারি ক্লাস দুপুর ২টা ৪৩ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সম্প্রচার করা হবে।
আজ তিনটি ধাপে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের ১০টি ক্লাস করানো হবে। সকাল ১১টা ৫ মিনিট থেকে থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এসব ক্লাস সম্প্রচারিত হবে। এরপর দুপুর ২০টা ১০ মিনিট থেকে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে।
গত সপ্তাহের শেষের দিন মাধ্যমিক ও কারিগরি স্তরের চলতি সপ্তাহের ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হয়। এতে মাধ্যমিকে ৪ জুন ও কারিগরিতে ১১ জুন পর্যন্ত যেসব ক্লাস সম্প্রচার হবে তা উল্লেখ করা হয়।

স্যামসাং স্মার্টফোনে বন্ধ হচ্ছে এই ফিচার!

স্যামসাং স্মার্টফোনে বন্ধ হচ্ছে এই ফিচার!
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য জনপ্রিয় একটি সার্ভিস বন্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। তারা এস ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিসটি বন্ধ করতে চলেছে।
স্যামসাং স্মার্টফোনের জন্য এই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টটি বিক্সবের অনেক আগে উন্মুক্ত করেছিল। এবার এটির অফিসিয়াল সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে।
স্যামসাং নিজের সাপোর্ট পেজে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যেখানে সেই ফোনের মডেলগুলোর নাম রয়েছে। যেই ফোনগুলোতে এখনও এই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করে।
এই তালিকায় নাম রয়েছে Galaxy A3, Galaxy A5, Galaxy A7, Galaxy A8, Galaxy A9, Galaxy Note FE, Galaxy Note5, Galaxy Note4, Galaxy Note3, Galaxy Note2, Galaxy S7, Galaxy S7 edge, Galaxy S6, Galaxy S6 edge, Galaxy S5, Galaxy S4, Galaxy S3, Gear S, Gear S2, Galaxy , Galaxy Active, Gear S3, Gear Sport-এর ।
স্যামসাংয়ের এস ভয়েসের সাহায্যে কল করা, রিমাইন্ডার সেট করার মতো কাজ করা যেত। সেই সঙ্গে এটি ব্যবহারকারীদের সময়ও বলে দিত আর কোনও কম্যান্ড দিলে সেটি ইন্টারনেটে সার্চও করতে পারত।

প্রতারিত হয়ে ভিডিওতে অভিনেত্রী চন্দনার আত্মহত্যা

প্রতারিত হয়ে ভিডিওতে অভিনেত্রী চন্দনার আত্মহত্যা
ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী চন্দনা। নিজের আত্মহত্যা প্রক্রিয়া মোবাইলে ভিডিও করে বাবা-মা বন্ধুদের পাঠান এই অভিনেত্রী। কিন্তু এই ভিডিও দেখে তার কাছে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন চন্দনা। লাভ হয়নি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও।
এই ভিডিওতেই আত্মহত্যার কারণ জানিয়েছেন চন্দনা। এর পেছনে রয়েছে তার প্রেমিক দিনেশ।
জানা গেছে, কন্নড় অভিনেত্রী চন্দনা কয়েক বছর ধরে দিনেশ নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। বাবা-মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও দিনেশের সঙ্গে সম্পর্ক চলতে থাকে চন্দনার। এসবের মাঝে হঠাত করেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন চন্দনা কিন্তু জোর করে তাকে গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ।
দিনেশই তাকে বাধ্য করেন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য। গর্ভপাতের পর চন্দনাকে বিয়ে করতেও অস্বীকার করেন দিনেশ। নিজের সুইসাইড ভিডিওতে এমনই দাবি করেন অভিনেত্রী। চন্দনাকে বিয়ে করবেন না বলে জানানোর পরই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি
চন্দনার মৃত্যুর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ দিনেশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে দিনেশ এর আগেও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তাদের প্রতারিত করেছেন।

করোনার পর বৃষ্টি, প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যে কী আছে?

করোনার পর বৃষ্টি, প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যে কী আছে?

করোনার সর্বগ্রাসী রূপ খুব না হলেও খানিকটা কমেছে যুক্তরাজ্যে। তাই ইংল্যান্ডে আবার 
ক্রিকেট চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। জুলাই মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
করোনার সংক্রমণ আরও কমে আসলে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো ঐ সময় ক্রিকেটের জন্মভূমিতে ক্রিকেট আবার মাঠে ফিরবে। তা না হয় হলো। কিন্তু বাংলাদেশে কবে ক্রিকেট চালু হবে?
বর্তমান পরিবেশ-প্রেক্ষাপটে তা ভাবার মানুষও কম। অতি বড় ক্রিকেট ভক্তও এখন করোনার ভয়াবহতায় যারপরণাই শঙ্কিত। এখন গোটা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে প্রতিদিন।
এই অবস্থায় দেশে ক্রিকেট চালুর চিন্তা প্রায় অলীক কল্পনার সামিল। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোর্ড ও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের আয়োজক-ব্যবস্থাপক সিসিডিএম কর্তৃপক্ষের মাথায় আপাতত প্রিমিয়ার লিগ শুরুর কোনো চিন্তাও নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপট ও অবস্থায় তা থাকার কথাও না।
আসলে এখন করোনার যে অবস্থা, তাতে করে বোদ্ধা-বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক সবাই সৃষ্টিকর্তার মুখাপেক্ষী হয়ে আছেন। মহান সৃষ্টার দয়ায় কবে নাগাদ বিশ্ব করোনামুক্ত হবে, তা আগাম বলারও কেউ নেই।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করেনা সংক্রমণ বাড়বে এবং তারপর কমতে পারে। তার মানে ধরেই নেয়া যায়, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করোনা সংকট কাটিয়ে ঘরোয়া খেলাধুলা চালুর সম্ভাবনা খুব কম।
এরই মধ্যে জুন মাস শুরু হয়ে গেছে। এ মাসের মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুরু হবে বৃষ্টি। যা জুলাইতে গিয়ে আরও বাড়বে প্রতি বছর তাই-ই দেখা যায়। জুনের মাঝামাঝি থেকে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে যায় পুরো বর্ষাকাল। চলবে আগস্ট অবধি।
ধরা যাক, করোনার প্রকোপ জুলাইয়ের মাঝামাঝির পর থেকে কমতে শুরু করলো, তারপরও কিন্তু তখন প্রিমিয়ার লিগ শুরু সম্ভব হবে না। কারণ আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থাকবে বৃষ্টির ভরা মৌসুম। তখন প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয় দেশে। অমন বর্ষায় সারা দিনে ৫০ ওভারের খেলা চালানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
কাজেই করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি এবারের ঢাকা লিগ আয়োজনে আরেক বড় বাধা হবে বৃষ্টি। সেক্ষেত্রে সব ঠিক হয়ে গেলে ডিসেম্বরে বিপিএল শুরুর আগ দিয়ে মানে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সিঙ্গেল লিগ করে হয়তো প্রিমিয়ার লিগ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকবে।
আর না হয় বিপিএলের পর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে সময় বের করে নিয়ে লিগ চালাতে হবে। তবে তখন আবার করোনা ঠিক হয়ে গেলে জাতীয় দলের কার্যক্রম বেড়ে যাবে। কাজেই করোনা মুক্তির পাশাপাশি বৃষ্টির হাত থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট এই মৌসুমে আর মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়েই আছে রাজ্যের সংশয়-সন্দেহ।

করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রাজধানীর যে ৩ এলাকা

করোনাভাইরাস মহামারিতে গত কযেক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর মিছিল চলছে ব্রাজিলে। প্রায় প্রতিদিনই ভাঙছে দৈনিক প্রাণহানির রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনায় মারা গেছেন আরও ১ হাজার ২৬২ জন, যা দেশটিতে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক প্রাণহানির ঘটনা।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ২৮ হাজার ৯৩৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৩ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট ৩১ হাজার ১৯৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। তবে, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৩৮ জন।
করোনা নিয়ন্ত্রণে বরাবরই লকডাউন ও কড়া নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে সবাইকে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হলেও পিছু হটেননি এ নেতা।
brazil
বেশ কিছু রাজ্য ও শহরে পরামর্শ না মেনে লকডাউন দেয়ায় উল্টো প্রেসিডেন্টের ক্ষোভের মুখে পড়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বোলসোনারের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে একমাসের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন দেশটির দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রাজিলে অন্যান্য দেশের তুলনায় মহামারি অনেক পরে শুরু হলেও সরকারের অব্যবস্থাপনা ও জনগণের অসচেতনতায় মাত্র মাস দুয়েকের মধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশ হয়ে উঠেছে তারা। ব্রাজিলের চেয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

সোমবার, ১ জুন, ২০২০

করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রতিদিন নতুন জিনিস শিখছি: সেঁজুতি সাহা

সেঁজুতি সাহা

সুত্র প্রথম আলো 
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং (জিন নকশা উন্মোচন) হয়। এখন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে আছে সেঁজুতি। সেখান থেকে তাঁর গবেষণার নানা দিক সম্পর্কে সম্পর্কে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ শঙ্কর সাহা আপনার নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং বা জিন নকশা উন্মোচন করেছে। আপনার পুরো কাজটা নিয়ে শুরুতেই কিছু বলুন।

সেঁজুতি সাহা: আমি বাংলাদেশে এসেছি ২০১৬ সালে। শুরু থেকেই আমি জিনোম সিকোয়েন্সেই কাজ করতে চাই। ওই কাজের জন্যই আমি মূলত কানাডা থেকে পিএইচডির পরে দেশে ফিরে গিয়েছি। আমি যখন প্রথম জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে কাজ শুরু করলাম, আমি কাজ করতান মেনিনজাইটিস নিয়ে। মেনিনজাইটিস হলো মস্তিষ্কের একটা রোগ। মেনিনজাইটিস হলে অনেক শিশু মারা যায়, কিন্তু তার থেকেও বেশি শিশু সারা জীবন পঙ্গু হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারি না, কোন জীবাণু দিয়ে এই মেনিনজাইটিস রোগটি হচ্ছে। এই জিনোম সিকোয়েন্সিং করেই আমি বুঝতে চাই কী জীবাণু দিয়ে মেনিনজাইটিস রোগটি হচ্ছে। ওখান থেকেই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ শুরু। ২০১৮–তে জিনোম সিকোয়েন্সার মেশিন আমরা পেলাম, যেটা ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে থাকি। কখনো কোনো ব্যাকটেরিয়া করেছি বা ফাঙ্গাস করেছি। ২০১৯ সালের শেষে এসে আমরা ভাইরাসও সিকোয়েন্সিং করা শুরু করলাম। আমরা শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসগুলোকেই সিকোয়েন্সিং করা শুরু করেছি। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, আরএসভি (RSV) ভাইরাস। এগুলো করতে করতে আমাদের এক ধরনের অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে। এগুলো করতে করতে অবশ্য কখনো ভাবিনি যে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করব।

এ বছরের ২৯ মার্চ আমাদের ল্যাব অনুমতি পেল কোভিড-১৯–এর জন্য টেস্টিং ল্যাব হিসেবে কাজ করার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমাদের অনুমতি দিলেন কোভিড টেস্টিং শুরু করার জন্য। কোভিড টেস্টিং শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যে আমরা পজিটিভ কেস পেলাম। তখন থেকেই আমাদের মাথায় ঢুকল যে আমরা তো করোনাভাইরাসও সিকোয়েন্সিং করতে পারি। তখন আমরা দেখলাম যে দেশের বাইরে হাজার হাজার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়ে যাচ্ছে। তারপর যখন দেখলাম যে ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল পর্যন্ত সিকোয়েন্সিং শুরু করে দিয়েছে, তখন একটা জেদ চলে এল। বাংলাদেশে সিকোয়েন্সিং হতেই হবে। এবং শেষ পর্যন্ত আমরা জিনোম সিকোয়েন্সিংটা করেছি। আমরা করেছি বলতে, পুরো দল করেছে। এখন ৮৩ জন কাজ করেন আমাদের দলে। আমাদের কাজ মূলত সংগৃহীত নমুনা টেস্ট করা।
আমরা স্যাম্পল সংগ্রহেও সহায়তা করে থাকি। পাশাপাশি শিশু হাসপাতালে আমরা শিশুদের নমুনা সংগ্রহের কাজও করি। সিকোয়েন্সিংয়ের একটা দল আছে আমাদের। এটা সাতজনের একটা দল। ওরা তো অনবরত কাজ করেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সিএইচআরএফের সবাই অনেক সাহায্য করেছে জিনোম সিকোয়েন্সিংটা করতে।

করোনায় আক্রান্ত নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার

করোনায় আক্রান্ত নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সেরও (বিএবি) চেয়ারম্যান। তিনিসহ তার স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রোববার (৩১ মে) নজরুল ইসলাম মজুমদারের ঘনিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই মজুমদার পরিবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়। নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী নাসরিন ইসলাম এখন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তার ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম এবং তার স্ত্রী রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত শনিবার তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী নাসরিন ইসলাম ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাদের মালিকানাধীন দেশের অন্যতম বৃহৎ তৈরি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপ। এ গ্রুপের কারখানাগুলোতে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মরত। এছাড়া বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, ব্যাংক, শেয়ারবাজার, আবাসন, শিক্ষা ও পর্যটনখাতে বিনিয়োগ রয়েছে নজরুল ইসলাম মজুমদারের।

রাজধানীতে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

  রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় পায়েল আজাদ (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে দুর্ঘটনা...