খেলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
খেলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

রশিদ খানকে চিনতে লেগেছিল মাত্র ২০ মিনিট’

‘রশিদ খানকে চিনতে লেগেছিল মাত্র ২০ মিনিট’
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নেট সেশনে মাত্র ২০ মিনিট বোলিং করেই নিজের জাত চিনিয়ে ফেলেছিলেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান। নেট সেশনের সেই ২০ মিনিটেই তার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যান হায়দরাবাদের তখনকার হেড কোচ টম মুডি।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপে সেই স্মৃতিচারণ করেছেন মুডি। আইপিএলের ২০১৭ সালের আসর থেকে হায়দরাবাদেই খেলছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম বোলার রশিদ খান। তাকে শুরু থেকেই দেখেছেন টম মুডি।

সেই অভিজ্ঞতা থেকে এ অসি কোচ বলেন, ‘আমি দলে একজন লেগস্পিনার চাইছিলাম। আমি জানি ম্যাচের যেকোন সময় চিত্রপট বদলে দিতে লেগস্পিনারদের ভূমিকা অনেক। আমি তাই হায়দরাবাদের এনালিস্টের সঙ্গে কথা বলে জিজ্ঞেস করলাম যে এখন কাকে নিলে ভালো হবে। অনেক অনেক ভিডিও দেখার পর রশিদ খানের বোলিং দেখলাম। আমি এনালিস্টকে বলে রাখলাম যে রশিদের ভিডিও আমাকে দিতে থাকে যেন। আমি ওর (রশিদ) বোলিং বোঝার চেষ্টা করছিলাম।’
মুডি আরও যোগ করেন, ‘আমি ওকে নিতে বলি দলে। হয়তো ভিডিওতে যেসব বোলিং দেখেছি, সেসবের প্রতিপক্ষ আইপিএলের মতো শক্তিশালি ছিল না, কিন্তু রশিদের ধারাবাহিকতা ছিল অসাধারণ। তাই আমি ভাবলাম যে, ওকে নিয়ে একটা জুয়া খেলাই যায়। শুধু একটাই চিন্তা ছিল যে এত বড় মঞ্চে ঘাবড়ে যায় কি না। কিন্তু আইপিএলে আসার পর যা হলো, তা তো রীতিমতো ইতিহাস।’
২০১৭ সালের আইপিএল শুরুর আগে রশিদ খানের সঙ্গে হায়দরাবাদের নেট সেশনের স্মৃতি মনে করে মুডি বলেছেন, ‘ওর প্রথম মৌসুমের আগে একদম প্রথম নেট সেশনে আমাদের মনে কিছু প্রশ্ন তো ছিলোই। হুট করে আইপিএলে সুযোগ পাওয়া ১৯ বছরের ছেলে কেমন কী করতে পারবে, এ বিষয়ে খানিক সংশয় ছিলোই সত্যি বলতে।’
‘এরপর নেট সেশনে ডেভিড ওয়ার্নারসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিপক্ষে বোলিং করাই। মাত্র ২০ মিনিট দেখেই আমি চিনে ফেলেছিলাম, আমরা একটা খাটি রত্নই নিয়েছি। নেট সেশনেও যে জেতার ইচ্ছাটা দেখা গেছে, তাতেই বোঝা গেছে যেকোন পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা আছে রশিদের। মাত্র ২০ মিনিটেই সব সংশয় দূর করে দিয়েছিল রশিদ।’

মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০

যে কারণে বিরতি ভেঙে টেস্টে ফিরলেন ওয়াহাব

যে কারণে বিরতি ভেঙে টেস্টে ফিরলেন ওয়াহাবপাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ২০২০-২১ মৌসুমে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা না পাওয়া অন্যতম বড় নাম বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। গত সেপ্টেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়ার কারণেই মূলত তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখেনি। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি ওয়াহাব।
যে কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়েই নিজের বিরতি ভাঙতে যাচ্ছেন তিনি। দলের প্রয়োজনে তাকে ডাকায় খুশি মনে বিরতি ভাঙতে রাজি হয়েছেন ওয়াহাব। জানিয়েছেন বিরতি নেয়া এবং বিরতি ভাঙার ব্যাপারে নিজের অবস্থানও।

গত শুক্রবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য ২৯ সদস্যের যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে অভিজ্ঞতম পেসার ওয়াহাবই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, হয়তো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য রাখা হয়েছে ওয়াহাবকে। তবে হেড কোচ মিসবাহ জানান, টেস্টের জন্যও বিবেচনায় রয়েছেন বাঁহাতি এ পেসার।
এবার একই কথা জানালেন ওয়াহাব নিজেও। এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘এবারের ইংল্যান্ড সফরের দলে থাকতে পেরে আমি উত্তেজিত। আপনারা জানেন, এবারের সফরটা পুরোপুরি ভিন্ন এক পরিস্থিতি। পিসিবির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছিল, টেস্ট ক্রিকেট খেলব কি না? আমি সরাসরি হ্যাঁ বলে দিয়েছি। কারণ পাকিস্তানের হয়ে খেলাই আমার কাছে সবচেয়ে বড়।’
এসময় টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়ার পেছনে তৎকালীন টিম ম্যানেজম্যান্টকেই দায়ী করেন ওয়াহাব। তবে বর্তমান টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে কথা বলেই অবসরের বদলে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। যাতে পরবর্তীতে ফিরতে পারেন টেস্ট দলে।
ওয়াহাব বলেন, ‘২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমি ভেঙে ভেঙে দলে সুযোগ পেয়েছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো পারফরম করেও পরের সফরের দলে জায়গা হয়নি। অস্ট্রেলিয়াতে সিরিজের মাঝপথে নেয়া হয়, আবার ফিরিয়েও দেয়া হয়। আমি তখন ভাবতাম, হয়তো টেস্ট খেলার মতো যথেষ্ঠ সামর্থ্য নেই আমার।’

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

কনকাশন সাবের পর এবার এলো ‘করোনা সাব’

কনকাশন সাবের পর এবার এলো ‘করোনা সাব’বর্তমানে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যান র‍্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেন। ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হলেও লাবুশেনের নতুন রূপ দেখা গেছে গতবছরের অ্যাশেজ সিরিজে। যেখানে স্টিভ স্মিথের জায়গায় খেলতে বাজিমাত করেন ২৫ বছর বয়সী এ তারকা ব্যাটসম্যান।
অথচ সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে সেই সিরিজে হয়তো তেমন একটা সুযোগই পেতেন না লাবুশেন। কেননা তিনি যে নেমেছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ‘কনকাশন সাবস্টিটিউট প্লেয়ার’ হিসেবে। স্টিভেন স্মিথ মাথায় আঘাত পেলে তার বদলে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন লাবুশেন।
এবার কনকাশন সাবের নতুন আরেক রূপ ‘করোনা সাবস্টিটিউট’ নিয়ম প্রকাশ করল আইসিসি। আগামী ৮ জুলাই থেকে মাঠে ফিরবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তখন থেকে যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ক্রিকেটের পাঁচটি নিয়মে বদল এনেছে আইসিসি।
কনকাশন সাবের নিয়মটিই খানিক বাড়িয়ে করা হয়েছে করোনা সাব। আগে যেমন শুধু খেলোয়াড়রা মাথায় আঘাত পেলে তাদের বদলে নতুন আরেকজন নামান যেত, তেমনই হবে করোনাকালীন সময়ের ক্রিকেটেও।
নতুন এ নিয়মের আওতায় টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোন খেলোয়াড়ের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে ম্যাচ রেফারির অনুমতি সাপেক্ষে অন্য একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো যাবে। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
এছাড়া আরও যে চারটি নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলো হলো বলে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা, অতিরিক্ত রিভিউ সিস্টেমের অনুমতি এবং জার্সিতে বাড়তি লোগোর ব্যবহার।

বিশ্বকাপ না হলে তো আইপিএল হতেই পারে’

‘বিশ্বকাপ না হলে তো আইপিএল হতেই পারে’টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নাকি আইপিএল- এ নিয়েই যেন এখন দু’ভাগ হয়ে গেছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। কেউ চান বিশ্বকাপ নয়, আইপিএলই হোক। আবার কেউ বলছেন, আইপিএল একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। এর জন্য কোনোভাবেই বিশ্বকাপকে বিসর্জন দেয়া যায় না।
তবে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি এবং বর্তমানে ধারাভাষ্যকার মাইকেল হোল্ডিং বলছেন, বিশ্বকাপ যদি মাঠেই না গড়ায়, তাহলে তো ওই সময়টায় আইপিএল আয়োজন করাই যায়। শুধু তাই নয়, ওই সময়টায় আইপিএল আয়োজন করার পূর্ণ অধিকার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রাখে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের; কিন্তু, করোনাভাইরাসের কারণে এই বিশ্বকাপ আয়োজনই এখন পড়ে গেছে চরম অনিশ্চয়তায়। যদিও এখনও পর্যন্ত আইসিসি এ ব্যপারে কিছুই বলেনি।
তবে সাবেক অসি অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারসহ অনেকেই বলছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপের কাছে নতি স্বীকার করছে আইসিসি। যে কারণে, তারা বিশ্বকাপ পিছিয়ে দিয়ে ওই সময়টাতে আইপিএল আয়োজনের সুযোগ করে দিতে চাইছে।
তবে মাইকেল হোল্ডিং বলেছেন, ‘মনে হয় না যে, আইসিসি ইচ্ছাকৃতভাবে আইপিএল আয়োজনের কথা ভেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের আইনেই তো রয়েছে, একটা নির্দিষ্ট তারিখের আগে সে দেশে বিদেশিদের প্রবেশের ব্যাপারে। যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত না হয়, তবে আইপিএল আয়োজনের পূর্ণ অধিকার রয়েছে বিসিসিআইয়ের। অন্যের প্রতিযোগিতায় অনধিকার প্রবেশ করলে না হয় সেটা নিয়ে কিছু বলা যেতো!’
প্রসঙ্গতঃ করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর যথাসময়ে (২৯ মার্চ) শুরু করা যায়নি আইপিএল। এখন পরিকল্পনা হচ্ছে, যদি আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত না হয়, তাহলে ওই সময়ের মধ্যে আইপিএল আয়োজন করা যায় কি না।একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি হোল্ডিং বিসিসিআইয়ের পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে বিসিসিআইর ওই ফাঁকা সময়ে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সমস্ত অধিকার রয়েছে। কারণ তারা অন্য কোনো টুর্নামেন্টের মধ্যে অনধিকারপ্রবেশ করছে না।’

বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

করোনার পর বৃষ্টি, প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যে কী আছে?

করোনার পর বৃষ্টি, প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যে কী আছে?

করোনার সর্বগ্রাসী রূপ খুব না হলেও খানিকটা কমেছে যুক্তরাজ্যে। তাই ইংল্যান্ডে আবার 
ক্রিকেট চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। জুলাই মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
করোনার সংক্রমণ আরও কমে আসলে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো ঐ সময় ক্রিকেটের জন্মভূমিতে ক্রিকেট আবার মাঠে ফিরবে। তা না হয় হলো। কিন্তু বাংলাদেশে কবে ক্রিকেট চালু হবে?
বর্তমান পরিবেশ-প্রেক্ষাপটে তা ভাবার মানুষও কম। অতি বড় ক্রিকেট ভক্তও এখন করোনার ভয়াবহতায় যারপরণাই শঙ্কিত। এখন গোটা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে প্রতিদিন।
এই অবস্থায় দেশে ক্রিকেট চালুর চিন্তা প্রায় অলীক কল্পনার সামিল। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোর্ড ও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের আয়োজক-ব্যবস্থাপক সিসিডিএম কর্তৃপক্ষের মাথায় আপাতত প্রিমিয়ার লিগ শুরুর কোনো চিন্তাও নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপট ও অবস্থায় তা থাকার কথাও না।
আসলে এখন করোনার যে অবস্থা, তাতে করে বোদ্ধা-বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক সবাই সৃষ্টিকর্তার মুখাপেক্ষী হয়ে আছেন। মহান সৃষ্টার দয়ায় কবে নাগাদ বিশ্ব করোনামুক্ত হবে, তা আগাম বলারও কেউ নেই।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করেনা সংক্রমণ বাড়বে এবং তারপর কমতে পারে। তার মানে ধরেই নেয়া যায়, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করোনা সংকট কাটিয়ে ঘরোয়া খেলাধুলা চালুর সম্ভাবনা খুব কম।
এরই মধ্যে জুন মাস শুরু হয়ে গেছে। এ মাসের মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুরু হবে বৃষ্টি। যা জুলাইতে গিয়ে আরও বাড়বে প্রতি বছর তাই-ই দেখা যায়। জুনের মাঝামাঝি থেকে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে যায় পুরো বর্ষাকাল। চলবে আগস্ট অবধি।
ধরা যাক, করোনার প্রকোপ জুলাইয়ের মাঝামাঝির পর থেকে কমতে শুরু করলো, তারপরও কিন্তু তখন প্রিমিয়ার লিগ শুরু সম্ভব হবে না। কারণ আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থাকবে বৃষ্টির ভরা মৌসুম। তখন প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয় দেশে। অমন বর্ষায় সারা দিনে ৫০ ওভারের খেলা চালানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
কাজেই করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি এবারের ঢাকা লিগ আয়োজনে আরেক বড় বাধা হবে বৃষ্টি। সেক্ষেত্রে সব ঠিক হয়ে গেলে ডিসেম্বরে বিপিএল শুরুর আগ দিয়ে মানে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সিঙ্গেল লিগ করে হয়তো প্রিমিয়ার লিগ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকবে।
আর না হয় বিপিএলের পর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে সময় বের করে নিয়ে লিগ চালাতে হবে। তবে তখন আবার করোনা ঠিক হয়ে গেলে জাতীয় দলের কার্যক্রম বেড়ে যাবে। কাজেই করোনা মুক্তির পাশাপাশি বৃষ্টির হাত থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট এই মৌসুমে আর মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়েই আছে রাজ্যের সংশয়-সন্দেহ।

রবিবার, ৩১ মে, ২০২০

মঈন খানকে আউট করার সঙ্গে সঙ্গে মনে হয় আমরাই জিতবো’

‘মঈন খানকে আউট করার সঙ্গে সঙ্গে মনে হয় আমরাই জিতবো’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ১৯৯৯ সালের ২৪ মে এডিনবার্গে স্বাগতিক স্কটল্যান্ডের সাথে দল যখন চরম বিপদে, ঠিক তখন ব্যাট হাতে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
২৬ রানে ইনিংসের প্রথম অর্ধেক শেষ। পাঁচ অতি নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ (০), মেহরাব হোসেন অপি (৩), ফারুক আহমেদ (৭), আমিনুল ইসলাম বুলবুল (০) ও আকরাম খান (০) সাজঘরে। ব্যাটসম্যান তকমাধারিদের মধ্যে ছিলেন শুধু নান্নু আর নাইমুর রহমান দুর্জয়। তারা দুজনই চরম বিপদে দাঁতে দাঁত কামড়ে লড়াই করেন।

দারুণ এক জুটি গড়ে দুর্জয় ৩৬ রানে ফিরলেও নান্নু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে। ২৬ রানে ৫ উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশ কঠিন চাপের মধ্যে থেকেও শেষ পর্যন্ত পায় ১৮৫ রানের পুুঁজি। আর সেটাই জয়ের জন্য যথেষ্ট বলে প্রমাণ করেন বোলাররা।
সে কারণেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের রূপকার ও নায়ক বনে যান নান্নু। একইভাবে ২১ বছর আগে আজকের দিনে পাকিস্তানের সাথে ৬২ রানের ঐতিহাসিক জয়ের স্বার্থক রূপকার ও নায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। ৩৪ বলে ২৭ রানের ছোট্ট অথচ কার্যকর ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই পাকিস্তানিদের ঠেলে দেন পরাজয়ের দিকে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তারই হাতে।
আজ (রোববার) ২১ বছর পর জাগো নিউজের সাথে সে ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক কথার ভিড়ে শুরুতেই একটি কথা বলেছেন সুজন, ‘আসলে আমি ক্যারিয়ারে কখনোই নিজের পারফরম্যান্সকে খুব বড় করে দেখিনি। ৩১ মে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের সাথে ম্যাচটিও তার বাইরে না। হ্যাঁ, খুব ভালো মনে আছে আমি ৩৪ বলে ২৭ রানের একটি ছোট্ট ইনিংস খেলেছিলাম। যেটা দলকে ২২০ ‘র ঘরে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছিল। তারপর বল হাতে সুইং পাচ্ছিলাম একটু আধটু। আমার ছোট ছোট সুইং খেলতে পাকিস্তানিদের সত্যিই সমস্যা হচ্ছিল। তারপরও বলব ঐ জয়ের কৃতিত্ব আমার একার না। একার নৈপুণ্যে পাকিস্তানের ঐ দলকে হারানো ছিল অসম্ভব। আমাদের পুরো দল খুব ভালো খেলেছিল বলেই আমরা জিতেছিলাম।’
খেলার দিনের বর্ণনা করতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘সেই ম্যাচের আগের দিন ও রাতে ঘটে যায় অনেক ঘটনা। সেটাই ছিল ওই বিশ্বকাপে আমাদের শেষ খেলা। তখনো জানতাম না, আবার কবে বিশ্বকাপ খেলতে পারবো কিনা। জয়-পরাজয়ের চিন্তায় না গিয়ে যারা কোন ম্যাচ খেলেনি, তাদের সুযোগ করে দিতেই শফিউদ্দীন বাবু আর নিয়ামুর রশিদ রাহুলকে খেলানো হয়েছিল।’

শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

আরো এক বছর চেলসিতে থাকছেন ক্যাবালেরো

আরো এক বছর চেলসিতে থাকছেন ক্যাবালেরো



প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্ট চেলসির সঙ্গে আরো এক বছরের জন্য চুক্তি বৃদ্ধি করেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক উইলি ক্যাবালোরো। চলমান চুক্তি শেষ হবার পর আরো এক বছর বাড়ানোর শর্ত থেকেই ক্যাবালেরো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

চেলসির ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে ক্যাবালেরো বলেছেন, ‘চুক্তি বৃদ্ধির এই ঘোষণা দিতে পেরে আমি দারুণ খুশি। চেলসির একজন সদস্য হতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা একটি দলের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। এই মুহূর্তে সকলেই কঠিন সময় পার করছে। এই সময়ে এই সুযোগটা পেয়ে আমি সৌভাগ্যবান।’
এবারের মৌসুমে ক্যাবালেরো ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের দলের হয়ে ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। ফেব্রুয়ারির শেষে বোর্নমাউথের সঙ্গে ক্যাবালেরো তার শেষ ম্যাচ খেলেছেন, ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন। কেপা আরিজাবালাগার ব্যাক-আপ হিসেবে তিনি মৌসুম শুরু করেছিলেন। বেশ কয়েকটি ম্যাচে মারাত্মক কয়েকটি ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে কেপা দল থেকে ছিটকে পড়লে পরপর পাঁচটি ম্যাচে ক্যাবালেরো মূল দলে সুযোগ পেয়েছিলেন।

ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘উইলির ওপর আমরা পূর্ণ আস্থা আছে। খুবই পেশাদার একজন খেলোয়াড়। অনুশীলনেও সে দুর্দান্ত পারফর্ম করে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে ক্যাবালেরো চেলসির হয়ে মাঠে নেমেই অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছে। আগামী মৌসুমে তাকে দলে পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।’

টেন্ডুলকারের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সুবিধা আর আমার নড়াচড়ায়: কোহলি

টেন্ডুলকারের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সুবিধা আর আমার নড়াচড়ায়: কোহলি


ক্যারিয়ারের শুরুতে এক স্টাইলে ব্যাটিং করতেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পপিং ক্রিজে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তন করেছেন। ব্যাটিং করার সময়ে পা’য়ের নড়াচড়া বেশি করেন তিনি। স্টাইল পরিবর্তন করে বড় ধরনের সুবিধাও পেয়েছেন কিং কোহলি। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ফোটাচ্ছেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। রান তাড়া করায় বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ের তকমাটা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন কোহলি।

সম্প্রতি রাতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের লাইভ শো’তে নিজের ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তনের কারণ জানান কোহলি। অবশ্য প্রসঙ্গটা তামিম নিজেই তুলেন। তামিম বলেন, ‘আমি যখন প্রথম আপনার খেলা দেখি, তখন দেখেছি আপনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতেন। কিন্তু এখন আপনি সামনে-পেছনে গিয়ে খেলেন। পা’য়ের অনেক মুভমেন্ট করেন। আমি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলি। আমার সঙ্গে অনেক কোচ কথা বলেছে, আর পরামর্শ দিয়েছে পা’য়ের মুভমেন্ট করে সামনে-পেছনে গিয়ে খেলার চেষ্টা করার। তবে আমি সেভাবে খেলতে গেলে অস্বস্তি বোধ করি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কেন নিজের খেলার ধরনটা পরিবর্তন করলেন?
কোহলি বলেন, ‘আমার মনে হলো, আমাকে মাঠের সব জায়গায় খেলতে হবে। এভাবে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেললে আমার খেলার শটস অনেক কমে যাবে। আমি পুরো মাঠকে ব্যবহার করতে পারবো না। তাই আমার মনে হয়েছে, আমার হিপ বেস্ট যদি ভালো পজিশনে থাকে, তাহলে আমি আমার পা যেকোনো সময় আগে বা পেছনে নিয়ে খেলতে পারবো। পরবর্তীতে আমি পা’য়ের মুভমেন্ট করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এ কারণে আমি মাঠের সব জায়গায় খেলতে পারছি।’
এরপর তামিম বলেন, ‘শচীন টেন্ডুলকার পুরো ক্যারিয়ারে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেছেন।’

সঙ্গে সঙ্গে কোহলি বলেন, ‘এটা এমন নয়, সবাইকে সামনে-পেছনে গিয়ে খেলতে হবে। যে যেভাবে ভালো অনুভব করে। অনেকে দাঁড়িয়ে খেললেও সমস্যার অনুভব করেনি। যেমন টেন্ডুলকার এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেছেন সারাজীবন। তার খেলার ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। অনায়াসে রান তুলেছেন। তবে আমার নিজের জন্য মনে হয়েছে, আমার খেলার ধরনের সঙ্গে পায়ের নড়াচড়ার বিষয়টি আমার ভালো কাজে দিয়েছে।’

রাজধানীতে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

  রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় পায়েল আজাদ (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে দুর্ঘটনা...