
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ১৯৯৯ সালের ২৪ মে এডিনবার্গে স্বাগতিক স্কটল্যান্ডের সাথে দল যখন চরম বিপদে, ঠিক তখন ব্যাট হাতে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
২৬ রানে ইনিংসের প্রথম অর্ধেক শেষ। পাঁচ অতি নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ (০), মেহরাব হোসেন অপি (৩), ফারুক আহমেদ (৭), আমিনুল ইসলাম বুলবুল (০) ও আকরাম খান (০) সাজঘরে। ব্যাটসম্যান তকমাধারিদের মধ্যে ছিলেন শুধু নান্নু আর নাইমুর রহমান দুর্জয়। তারা দুজনই চরম বিপদে দাঁতে দাঁত কামড়ে লড়াই করেন।
দারুণ এক জুটি গড়ে দুর্জয় ৩৬ রানে ফিরলেও নান্নু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে। ২৬ রানে ৫ উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশ কঠিন চাপের মধ্যে থেকেও শেষ পর্যন্ত পায় ১৮৫ রানের পুুঁজি। আর সেটাই জয়ের জন্য যথেষ্ট বলে প্রমাণ করেন বোলাররা।
সে কারণেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের রূপকার ও নায়ক বনে যান নান্নু। একইভাবে ২১ বছর আগে আজকের দিনে পাকিস্তানের সাথে ৬২ রানের ঐতিহাসিক জয়ের স্বার্থক রূপকার ও নায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। ৩৪ বলে ২৭ রানের ছোট্ট অথচ কার্যকর ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই পাকিস্তানিদের ঠেলে দেন পরাজয়ের দিকে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তারই হাতে।
আজ (রোববার) ২১ বছর পর জাগো নিউজের সাথে সে ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক কথার ভিড়ে শুরুতেই একটি কথা বলেছেন সুজন, ‘আসলে আমি ক্যারিয়ারে কখনোই নিজের পারফরম্যান্সকে খুব বড় করে দেখিনি। ৩১ মে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের সাথে ম্যাচটিও তার বাইরে না। হ্যাঁ, খুব ভালো মনে আছে আমি ৩৪ বলে ২৭ রানের একটি ছোট্ট ইনিংস খেলেছিলাম। যেটা দলকে ২২০ ‘র ঘরে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছিল। তারপর বল হাতে সুইং পাচ্ছিলাম একটু আধটু। আমার ছোট ছোট সুইং খেলতে পাকিস্তানিদের সত্যিই সমস্যা হচ্ছিল। তারপরও বলব ঐ জয়ের কৃতিত্ব আমার একার না। একার নৈপুণ্যে পাকিস্তানের ঐ দলকে হারানো ছিল অসম্ভব। আমাদের পুরো দল খুব ভালো খেলেছিল বলেই আমরা জিতেছিলাম।’
খেলার দিনের বর্ণনা করতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘সেই ম্যাচের আগের দিন ও রাতে ঘটে যায় অনেক ঘটনা। সেটাই ছিল ওই বিশ্বকাপে আমাদের শেষ খেলা। তখনো জানতাম না, আবার কবে বিশ্বকাপ খেলতে পারবো কিনা। জয়-পরাজয়ের চিন্তায় না গিয়ে যারা কোন ম্যাচ খেলেনি, তাদের সুযোগ করে দিতেই শফিউদ্দীন বাবু আর নিয়ামুর রশিদ রাহুলকে খেলানো হয়েছিল।’