বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

আজ টিভিতে মাধ্যমিক-কারিগরির ১৩ ক্লাস

আজ টিভিতে মাধ্যমিক-কারিগরির ১৩ ক্লাস
সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে আজ (বুধবার) মাধ্যমিকের ১০টি ও কারিগরির তিনটিসহ মোট ১৩টি বিষয়ের ক্লাস প্রচার করা হবে।
আজ মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস বেলা ১১টা ৫ মিনিট থেকে ১১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত, সপ্তম শ্রেণির বাংলা বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট, অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি ও বাংলা ক্লাস ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত, নবম শ্রেণির গণিত, ইংরেজি ও অর্থনীতি ক্লাস ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত, দশম শ্রেণির বাংলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস ১টা ২৫ মিনিট থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রচার করা হবে।
অন্যদিকে এদিন কারিগরি স্তরে নবম শ্রেণির অটোমেটিভ ক্লাস দুপুর ২টা ১০ মিনিট থেকে ২টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত, দুপুর ২টা ২৭ মিনিট থেকে ২টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত দশম শ্রেণির বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স এবং দশম শ্রেণির ফার্ম মেশিনারি ক্লাস দুপুর ২টা ৪৩ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সম্প্রচার করা হবে।
আজ তিনটি ধাপে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের ১০টি ক্লাস করানো হবে। সকাল ১১টা ৫ মিনিট থেকে থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এসব ক্লাস সম্প্রচারিত হবে। এরপর দুপুর ২০টা ১০ মিনিট থেকে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে।
গত সপ্তাহের শেষের দিন মাধ্যমিক ও কারিগরি স্তরের চলতি সপ্তাহের ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হয়। এতে মাধ্যমিকে ৪ জুন ও কারিগরিতে ১১ জুন পর্যন্ত যেসব ক্লাস সম্প্রচার হবে তা উল্লেখ করা হয়।

স্যামসাং স্মার্টফোনে বন্ধ হচ্ছে এই ফিচার!

স্যামসাং স্মার্টফোনে বন্ধ হচ্ছে এই ফিচার!
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য জনপ্রিয় একটি সার্ভিস বন্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। তারা এস ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিসটি বন্ধ করতে চলেছে।
স্যামসাং স্মার্টফোনের জন্য এই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টটি বিক্সবের অনেক আগে উন্মুক্ত করেছিল। এবার এটির অফিসিয়াল সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে।
স্যামসাং নিজের সাপোর্ট পেজে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যেখানে সেই ফোনের মডেলগুলোর নাম রয়েছে। যেই ফোনগুলোতে এখনও এই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করে।
এই তালিকায় নাম রয়েছে Galaxy A3, Galaxy A5, Galaxy A7, Galaxy A8, Galaxy A9, Galaxy Note FE, Galaxy Note5, Galaxy Note4, Galaxy Note3, Galaxy Note2, Galaxy S7, Galaxy S7 edge, Galaxy S6, Galaxy S6 edge, Galaxy S5, Galaxy S4, Galaxy S3, Gear S, Gear S2, Galaxy , Galaxy Active, Gear S3, Gear Sport-এর ।
স্যামসাংয়ের এস ভয়েসের সাহায্যে কল করা, রিমাইন্ডার সেট করার মতো কাজ করা যেত। সেই সঙ্গে এটি ব্যবহারকারীদের সময়ও বলে দিত আর কোনও কম্যান্ড দিলে সেটি ইন্টারনেটে সার্চও করতে পারত।

প্রতারিত হয়ে ভিডিওতে অভিনেত্রী চন্দনার আত্মহত্যা

প্রতারিত হয়ে ভিডিওতে অভিনেত্রী চন্দনার আত্মহত্যা
ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী চন্দনা। নিজের আত্মহত্যা প্রক্রিয়া মোবাইলে ভিডিও করে বাবা-মা বন্ধুদের পাঠান এই অভিনেত্রী। কিন্তু এই ভিডিও দেখে তার কাছে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন চন্দনা। লাভ হয়নি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও।
এই ভিডিওতেই আত্মহত্যার কারণ জানিয়েছেন চন্দনা। এর পেছনে রয়েছে তার প্রেমিক দিনেশ।
জানা গেছে, কন্নড় অভিনেত্রী চন্দনা কয়েক বছর ধরে দিনেশ নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। বাবা-মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও দিনেশের সঙ্গে সম্পর্ক চলতে থাকে চন্দনার। এসবের মাঝে হঠাত করেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন চন্দনা কিন্তু জোর করে তাকে গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ।
দিনেশই তাকে বাধ্য করেন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য। গর্ভপাতের পর চন্দনাকে বিয়ে করতেও অস্বীকার করেন দিনেশ। নিজের সুইসাইড ভিডিওতে এমনই দাবি করেন অভিনেত্রী। চন্দনাকে বিয়ে করবেন না বলে জানানোর পরই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি
চন্দনার মৃত্যুর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ দিনেশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে দিনেশ এর আগেও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তাদের প্রতারিত করেছেন।

করোনার পর বৃষ্টি, প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যে কী আছে?

করোনার পর বৃষ্টি, প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যে কী আছে?

করোনার সর্বগ্রাসী রূপ খুব না হলেও খানিকটা কমেছে যুক্তরাজ্যে। তাই ইংল্যান্ডে আবার 
ক্রিকেট চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। জুলাই মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
করোনার সংক্রমণ আরও কমে আসলে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো ঐ সময় ক্রিকেটের জন্মভূমিতে ক্রিকেট আবার মাঠে ফিরবে। তা না হয় হলো। কিন্তু বাংলাদেশে কবে ক্রিকেট চালু হবে?
বর্তমান পরিবেশ-প্রেক্ষাপটে তা ভাবার মানুষও কম। অতি বড় ক্রিকেট ভক্তও এখন করোনার ভয়াবহতায় যারপরণাই শঙ্কিত। এখন গোটা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে প্রতিদিন।
এই অবস্থায় দেশে ক্রিকেট চালুর চিন্তা প্রায় অলীক কল্পনার সামিল। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোর্ড ও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের আয়োজক-ব্যবস্থাপক সিসিডিএম কর্তৃপক্ষের মাথায় আপাতত প্রিমিয়ার লিগ শুরুর কোনো চিন্তাও নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপট ও অবস্থায় তা থাকার কথাও না।
আসলে এখন করোনার যে অবস্থা, তাতে করে বোদ্ধা-বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক সবাই সৃষ্টিকর্তার মুখাপেক্ষী হয়ে আছেন। মহান সৃষ্টার দয়ায় কবে নাগাদ বিশ্ব করোনামুক্ত হবে, তা আগাম বলারও কেউ নেই।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করেনা সংক্রমণ বাড়বে এবং তারপর কমতে পারে। তার মানে ধরেই নেয়া যায়, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করোনা সংকট কাটিয়ে ঘরোয়া খেলাধুলা চালুর সম্ভাবনা খুব কম।
এরই মধ্যে জুন মাস শুরু হয়ে গেছে। এ মাসের মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুরু হবে বৃষ্টি। যা জুলাইতে গিয়ে আরও বাড়বে প্রতি বছর তাই-ই দেখা যায়। জুনের মাঝামাঝি থেকে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে যায় পুরো বর্ষাকাল। চলবে আগস্ট অবধি।
ধরা যাক, করোনার প্রকোপ জুলাইয়ের মাঝামাঝির পর থেকে কমতে শুরু করলো, তারপরও কিন্তু তখন প্রিমিয়ার লিগ শুরু সম্ভব হবে না। কারণ আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থাকবে বৃষ্টির ভরা মৌসুম। তখন প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয় দেশে। অমন বর্ষায় সারা দিনে ৫০ ওভারের খেলা চালানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
কাজেই করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি এবারের ঢাকা লিগ আয়োজনে আরেক বড় বাধা হবে বৃষ্টি। সেক্ষেত্রে সব ঠিক হয়ে গেলে ডিসেম্বরে বিপিএল শুরুর আগ দিয়ে মানে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সিঙ্গেল লিগ করে হয়তো প্রিমিয়ার লিগ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকবে।
আর না হয় বিপিএলের পর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে সময় বের করে নিয়ে লিগ চালাতে হবে। তবে তখন আবার করোনা ঠিক হয়ে গেলে জাতীয় দলের কার্যক্রম বেড়ে যাবে। কাজেই করোনা মুক্তির পাশাপাশি বৃষ্টির হাত থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট এই মৌসুমে আর মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়েই আছে রাজ্যের সংশয়-সন্দেহ।

করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রাজধানীর যে ৩ এলাকা

করোনাভাইরাস মহামারিতে গত কযেক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর মিছিল চলছে ব্রাজিলে। প্রায় প্রতিদিনই ভাঙছে দৈনিক প্রাণহানির রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনায় মারা গেছেন আরও ১ হাজার ২৬২ জন, যা দেশটিতে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক প্রাণহানির ঘটনা।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ২৮ হাজার ৯৩৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৩ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট ৩১ হাজার ১৯৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। তবে, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৩৮ জন।
করোনা নিয়ন্ত্রণে বরাবরই লকডাউন ও কড়া নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে সবাইকে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হলেও পিছু হটেননি এ নেতা।
brazil
বেশ কিছু রাজ্য ও শহরে পরামর্শ না মেনে লকডাউন দেয়ায় উল্টো প্রেসিডেন্টের ক্ষোভের মুখে পড়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বোলসোনারের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে একমাসের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন দেশটির দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রাজিলে অন্যান্য দেশের তুলনায় মহামারি অনেক পরে শুরু হলেও সরকারের অব্যবস্থাপনা ও জনগণের অসচেতনতায় মাত্র মাস দুয়েকের মধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশ হয়ে উঠেছে তারা। ব্রাজিলের চেয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

সোমবার, ১ জুন, ২০২০

করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রতিদিন নতুন জিনিস শিখছি: সেঁজুতি সাহা

সেঁজুতি সাহা

সুত্র প্রথম আলো 
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং (জিন নকশা উন্মোচন) হয়। এখন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে আছে সেঁজুতি। সেখান থেকে তাঁর গবেষণার নানা দিক সম্পর্কে সম্পর্কে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ শঙ্কর সাহা আপনার নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং বা জিন নকশা উন্মোচন করেছে। আপনার পুরো কাজটা নিয়ে শুরুতেই কিছু বলুন।

সেঁজুতি সাহা: আমি বাংলাদেশে এসেছি ২০১৬ সালে। শুরু থেকেই আমি জিনোম সিকোয়েন্সেই কাজ করতে চাই। ওই কাজের জন্যই আমি মূলত কানাডা থেকে পিএইচডির পরে দেশে ফিরে গিয়েছি। আমি যখন প্রথম জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে কাজ শুরু করলাম, আমি কাজ করতান মেনিনজাইটিস নিয়ে। মেনিনজাইটিস হলো মস্তিষ্কের একটা রোগ। মেনিনজাইটিস হলে অনেক শিশু মারা যায়, কিন্তু তার থেকেও বেশি শিশু সারা জীবন পঙ্গু হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারি না, কোন জীবাণু দিয়ে এই মেনিনজাইটিস রোগটি হচ্ছে। এই জিনোম সিকোয়েন্সিং করেই আমি বুঝতে চাই কী জীবাণু দিয়ে মেনিনজাইটিস রোগটি হচ্ছে। ওখান থেকেই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ শুরু। ২০১৮–তে জিনোম সিকোয়েন্সার মেশিন আমরা পেলাম, যেটা ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে থাকি। কখনো কোনো ব্যাকটেরিয়া করেছি বা ফাঙ্গাস করেছি। ২০১৯ সালের শেষে এসে আমরা ভাইরাসও সিকোয়েন্সিং করা শুরু করলাম। আমরা শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসগুলোকেই সিকোয়েন্সিং করা শুরু করেছি। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, আরএসভি (RSV) ভাইরাস। এগুলো করতে করতে আমাদের এক ধরনের অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে। এগুলো করতে করতে অবশ্য কখনো ভাবিনি যে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করব।

এ বছরের ২৯ মার্চ আমাদের ল্যাব অনুমতি পেল কোভিড-১৯–এর জন্য টেস্টিং ল্যাব হিসেবে কাজ করার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমাদের অনুমতি দিলেন কোভিড টেস্টিং শুরু করার জন্য। কোভিড টেস্টিং শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যে আমরা পজিটিভ কেস পেলাম। তখন থেকেই আমাদের মাথায় ঢুকল যে আমরা তো করোনাভাইরাসও সিকোয়েন্সিং করতে পারি। তখন আমরা দেখলাম যে দেশের বাইরে হাজার হাজার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়ে যাচ্ছে। তারপর যখন দেখলাম যে ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল পর্যন্ত সিকোয়েন্সিং শুরু করে দিয়েছে, তখন একটা জেদ চলে এল। বাংলাদেশে সিকোয়েন্সিং হতেই হবে। এবং শেষ পর্যন্ত আমরা জিনোম সিকোয়েন্সিংটা করেছি। আমরা করেছি বলতে, পুরো দল করেছে। এখন ৮৩ জন কাজ করেন আমাদের দলে। আমাদের কাজ মূলত সংগৃহীত নমুনা টেস্ট করা।
আমরা স্যাম্পল সংগ্রহেও সহায়তা করে থাকি। পাশাপাশি শিশু হাসপাতালে আমরা শিশুদের নমুনা সংগ্রহের কাজও করি। সিকোয়েন্সিংয়ের একটা দল আছে আমাদের। এটা সাতজনের একটা দল। ওরা তো অনবরত কাজ করেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সিএইচআরএফের সবাই অনেক সাহায্য করেছে জিনোম সিকোয়েন্সিংটা করতে।

করোনায় আক্রান্ত নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার

করোনায় আক্রান্ত নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সেরও (বিএবি) চেয়ারম্যান। তিনিসহ তার স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রোববার (৩১ মে) নজরুল ইসলাম মজুমদারের ঘনিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই মজুমদার পরিবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়। নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী নাসরিন ইসলাম এখন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তার ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম এবং তার স্ত্রী রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত শনিবার তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী নাসরিন ইসলাম ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাদের মালিকানাধীন দেশের অন্যতম বৃহৎ তৈরি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপ। এ গ্রুপের কারখানাগুলোতে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মরত। এছাড়া বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, ব্যাংক, শেয়ারবাজার, আবাসন, শিক্ষা ও পর্যটনখাতে বিনিয়োগ রয়েছে নজরুল ইসলাম মজুমদারের।

রাজধানীতে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

  রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় পায়েল আজাদ (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে দুর্ঘটনা...