
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে, কিন্তু জিপিএ-৫ বেড়েছে। শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। পাসের হার শূন্য—এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল জানানো হয়। এতে দেখা যায়, গতবারের চেয়ে এ বছর বোর্ডের গড় পাসের হার প্রায় ২ শতাংশ কমেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, গণিতে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বোর্ডের পাসের হার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে গেছে।
এ বছরের পাসের হার ৮৫ দশমিক ২২। গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৭৬৪ জন। এবার ১ হাজার ৪৮১টি জিপিএ-৫ বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল না চিরচেনা দৃশ্য। সরকারি নির্দেশনার কারণে বিদ্যালয় খোলেনি। তাই কোনো আনন্দ চোখে পড়েনি।
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত ছয় জেলার ১ হাজার ৭৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭০ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬০ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২৩ হাজার ৫১০ জন। ছেলেদের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩১ ও মেয়েদের ৮৪ দশমিক ৪১। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ কম। বিজ্ঞানে গড় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৬, মানবিকে ৭৬ দশমিক ৩৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮৪ দশমিক ৮৩। এবার ৬৭ হাজার ৮৮৯ জন ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৮ হাজার ৫৯৬ জন পাস করেছে।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫ জন। এর মধ্যে ছেলে ৪ হাজার ৯১৫ জন, মেয়ে ৫ হাজার ৩৩০ জন। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ৪১৫ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭০৪ জন। এর মধ্যে ছেলে ৪ হাজার ৭৮৯ জন ও মেয়ে ৪ হাজার ৯১৫। মানবিকে ১৬১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে ছেলে ১৪ জন ও মেয়ে ১৪৭। ব্যবসায় শিক্ষায় শাখায় ৩৮০ জনের মধ্যে মেয়ে ২৬৮ জন ও ছেলে ১১২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ বছর ৯১ হাজার ১৮১ জন মেয়ের মধ্যে ৭৬ হাজার ৯৬৪ জন পাস করেছে। ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পাসের হার বেশি। বিজ্ঞানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার মাত্র দশমিক ৩২ শতাংশ কম।
মেয়েদের জিপিএ-৫ বেশি প্রাপ্তি বিষয়ে কুমিল্লার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত জোহরা আনিস বলেন, মেয়েরা পুরো সিলেবাস বারবার পড়েছে। ছেলেদের তুলনায় পড়ার টেবিলে বেশি সময় দিয়েছে। এ কারনে কোয়ালিটি ফল করেছে তারা।

















